জাননাহ,ঢাবি প্রতিনিধি: খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (৮ জুন) এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এ দিন শিক্ষকের রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন।
অধ্যাপক রহমত উল্লাহ ঢাবিতে আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। নীল দলের প্যানেল থেকে তিনি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি ঢাবি আইন বিভাগের ডীনের দায়িত্বে ছিলেন।
তবে গত ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে খন্দকার মোশতাকের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেলেন।
তখন অলোচনা শেষে সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শিক্ষক সমিতির সভাপতির বক্তব্যের বিতর্কিত অংশ এক্সপাঞ্জ করেন।
পাশাপাশি, নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ। তিনি খন্দকার মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোয় ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ছিল অনিচ্ছাকৃত ভুল।
কিন্তু এরপর ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় গত ২০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পরে ঐ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন অধ্যাপক রহমত উল্লাহ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ।